বিডিফেস২৪ ডেক্স:
তিন দফা দাবিতে টানা সাত দিন ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান
কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ন্যায্য দাবি আদায় না
হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার)
দুপুরে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষককর্মচারীরা মূল বেতনের
২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে
উন্নীত করার দাবি জানিয়ে গত রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান শুরু
করেন।
 তবে পুলিশি বাধার মুখে তারা
শহীদ মিনারে এসে অবস্থান নেন এবং গতকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন
না। শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও আগামী রবিবার থেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে
আন্দোলনে যুক্ত হবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমাদের দাবি একটাই—
 ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দিতে হবে।
শিক্ষকরা আর কোনো কথা শুনতে চান না। দাবি পূরণ না হলে আমরা শহীদ মিনার ছেড়ে যাব না।”
এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি
চলছে, যা অনির্দিষ্টকালের জন্য চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে
গত সপ্তাহে শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর তারা শাহবাগ
মোড় অবরোধ করেন।যদিও বৃহস্পতিবার ঘোষিত "মার্চ টু যমুনা" কর্মসূচি স্থগিত
করা হয়।
অন্তর্র্বতী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার এ বিষয়ে বলেন,
“অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া (ন্যূনতম দুই হাজার
টাকা) দেওয়া সম্ভব হবে।  এর বেশি দেওয়ার মতো
বাজেট আপাতত নেই। তবে শিক্ষকরা এখন ১০ শতাংশ চান এবং পরের বছর আরও ১০ শতাংশ দাবি করছেন।”
সরকারি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন
আন্দোলনকারীরা।আজকের কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে তারা সরকারের প্রতি আবারও তাদের দাবির
প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করবেন।