অনলাইন ডেক্স:
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবস ও উৎসব যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন বা পালনের
নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সংক্রান্ত
নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,
জাতীয় দিবস ব্যতীত অন্য দিবসগুলোতে সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান যথাসম্ভব পরিহার
করতে হবে। তবে রেডিও ও টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান, সীমিত আকারে সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম
আয়োজন করা যাবে। কর্মদিবসে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা পরিহার করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়,
কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি তিন দিনের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে এবং অফিসের
কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি
ছুটির দিন অথবা অফিস সময়ের পর আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য
মর্যাদায় উদ্যাপনযোগ্য দিবস
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৬টি
দিবস ও উৎসবকে জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের জন্য নির্ধারণ করেছে। এর
মধ্যে রয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি), স্বাধীনতা ও জাতীয়
দিবস (২৬ মার্চ), মে দিবস (১ মে), বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর), বাংলা নববর্ষ (১ বৈশাখ),
রবীন্দ্রজয়ন্তী, নজরুলজয়ন্তীসহ ঈদ, দুর্গাপূজা ও বড়দিনের মতো ধর্মীয় উৎসবসমূহ।
উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালিতব্য
দিবস
এছাড়া দেশের উন্নয়ন,
পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ৩৭টি দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালনের
জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব দিবসের প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত
করতে বলা হয়েছে এবং এ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি উৎস থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার
টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস, জাতীয় ভোটার
দিবস, জাতীয় পাট দিবস, মুজিবনগর দিবস, জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস, আন্তর্জাতিক
যুব দিবস, বিশ্ব শিক্ষক দিবস, জাতীয় সমবায় দিবস, বেগম রোকেয়া দিবসসহ আরও অনেক দিবস।
সীমিত কলেবরে পালিতব্য
প্রতীকী দিবস
এ ছাড়া বিশেষ খাতভিত্তিক
৩৩টি প্রতীকী দিবস সীমিত কলেবরে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব দিবসে উন্নয়ন খাত
থেকে কোনো বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস, বিশ্ব
পানি দিবস, বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, আন্তর্জাতিক
প্রবীণ দিবস, বিশ্ব মানবাধিকার দিবসসহ আরও অনেক দিবস।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দিবস
উদ্যাপনের ক্ষেত্রে যথাযথ মর্যাদা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং অনুষ্ঠান যেন সরকারি
কার্যক্রমে কোনো প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।