বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা :
পটুয়াখালী বাউফল সদর ইউনিয়নের বরইতলা এলাকার একটি
বসত ঘরে হামলা করে নারী পুরুষ ও শিশুদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর
) দুপুর  ১টার সময় একটি কিশোর গ্যাংরা এ হামলা
চালিয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে
অলিপুরা গ্রামের গাজী বাড়ীর নূর হোসেনের ঘরে হামলা চালায় স্থানীয় খলিল প্যাদার ছেলে
জাহিদুল। ওই সময় তার সাথে থাকা ২০ থেকে ২৫ জনের কিশোর দলের সকলের হাতেই ছিলো চাকু
(সিক্স গিয়ার)।  তারা নূর হোসেনের ছেলে নাঈম
মুন্সী (২০) কে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে লুটপাট করে ও আলমিরা ভেঙে
নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে নাঈমের বাবা নূর হোসেন ও তার স্ত্রীকে মারধর
করে। ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা চলে আসলে তাদের ছুড়ি (সিক্স গিয়ার) দিয়ে ভয় দেখিয়ে বীর
দর্পে চলে যায়। 
আহত নূর হোসেন মুন্সী বলেন, দুপুরে প্রায় ২০–২৫
জনের একদল কিশোর গ্যাং হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির দুটি ঘরের
দরজা ভেঙে প্রবেশ করে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে।“ আমার স্ত্রীকে
বেধড়ক পেটানো হয়েছে। আমাকে লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করেছে। ঘরে থাকা কোম্পানির চার লাখ
টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি এখন নিঃস্ব।” ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রবিবার বিকেলে আলিপুরা
বাজারে তার ছেলে নাঈম মুন্সী ও জাহিদুল (পিতা: খলিল ফেদা) নামের এক যুবকের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের
পর থেকেই। জাহিদুল তখন নাঈমকে হত্যার হুমকি ও বাড়ি থেকে উৎপাত করে দেওয়ার কথা বলেছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় আজকের হামলা হয়েছে বলে দাবি নূর হোসেনের।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের মধ্যে তিনি চারজনকে
শনাক্ত করেছেন—জাহিদুল, নীরব ও নিশাত (পিতা: নুর ইসলাম, দাসপাড়া), যাদের নেতৃত্বে কিশোর
গ্যাংটি হামলা চালিয়েছে।
অভিযুক্ত জাহিদুল সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন
যে তিনি ও তার দুই ভাগ্নে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং আগের দিনের বাজারে নাঈমের সঙ্গে
ধাক্কাধাক্কির জেরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বাউফল থানার ওসি আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, “এখনো
কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”