নেপালে অলি সরকারের পতন, কেন এগিয়ে আসেনি সেনাবাহিনী

Date: 2025-09-10
news-banner

অনলাইন ডেক্স:

মঙ্গলবার নেপালে বিক্ষোভকারীরা যখন সংসদ ভবন, সিংহ দরবার, প্রেসিডেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, মন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাল তখন নেপালি সেনাবাহিনী এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় এগিয়ে আসেনি? কেন তারা কে পি শর্মা অলির সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেনি ?

 উচ্চপদস্থ একজনসেনা সূত্র নেপালি সংবাদমাধ্যম খবর হাবকে বলেছেন, পরিস্থিতি বাইরে থেকে যতটা সহজ মনে হচ্ছিল আসলে ততটা সহজ ছিল না। একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর নিশ্চয়ই নিজেদের বিশ্লেষণ রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সেনা মোতায়েন করতে চাইলে সেনা সদর দপ্তরকে বিবেচনা করতে হতো, তারা জনগণের পাশে নাকি নেতাদের পাশে দাঁড়াবে?

মূলত সেনাবাহিনীর কাছে এই হিসাবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।  যদি সরাসরি সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলা করত, তবে সংঘর্ষ আরো বাড়ত, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হতো, নাগরিক হতাহতের ঝুঁকি তৈরি হতো।

একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেন, ‘ভবনগুলো আবার নির্মাণ করা যায়। কিন্তু মানুষের জীবন অমূল্য। সেনাবাহিনী সঠিক কাজ করেছে জনগণের ওপর গুলি না চালিয়ে। তবে সহিংসতা যখন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্যদের ওপর হামলায় রূপ নেয়, তখন সেনাবাহিনী মানবিক কারণে হস্তক্ষেপ করে এবং অনেক নেতাদের হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয় নিরাপদে।

সেনাবাহীনির এই পদক্ষেপের সঙ্গে সবাই একমত নয়। নেপালি কংগ্রেস সিপিএন-ইউএমএনের নেতারা যুক্তি দেন, সরকারি স্থাপনা রক্ষা না করা দুর্বলতার ইঙ্গিত এবং এটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে। তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে সুরিক্ষা দেওয়া।

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, পরবর্তী পদক্ষেপ হতে হবে সাংবিধানিক প্রেসিডেন্টকে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে যাতে করে কোন উগ্রতা তৈরী হতে না পারে। ক্ষতি যেন না হয় রাস্ট্র ও জানমালের।


advertisement image

Leave Your Comments