অনলাইন ডেক্সে:
এনসিপি আহবায়ক (জাতীয় নাগরিক কমিটি) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সিলেটেসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। অনেক জায়গায় আমাদের লোকজন বাঁধা পেয়েও আমাদের মাঝে আসছেন।’ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মন্তব্য
করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সরকার কঠোরভাবে দেখবে বলে প্রত্যাশা
করছি। আমরা দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইসলামের ইতিহাসের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা ইসলামের ঐতিহ্য ধারণ করবো বলে প্রত্যাশা রাখছি।’ তিনি আরও বলেন, পদযাত্রা শেষ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে পদযাত্রা শেষ করে সিলেটে আসেন
এনসিপির শীর্ষ নেতারা। পরে সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
সমাবেশে অংশ নেন তারা। সমাবেশ শেষে রাত সাড়ে ৮টায় শাহজালাল (রহ.) মাজার
জিয়ারতে আসেন নেতারা। তার আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,
‘পাকিস্তান আমলে যেমন সিলেটকে ঠকানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলেও তেমনই অবিচার
চলেছে। গ্যাস, পাথর ও বালুসহ সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করা হয়েছে,
কিন্তু এখানকার মানুষ বরাবরই বঞ্চিত।’
তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় এই বাংলার পক্ষেই সিলেট রায়
দিয়েছিল। অথচ আমরা আমাদের পূর্ণ সিলেট পাইনি, বহু অংশ চলে গেছে আসামের
সঙ্গে। বৃটিশ শাসনামল থেকেই এই বঞ্চনা চলে আসছে।’ নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে সিলেটের ১৭ জন শহীদ হয়েছেন।
আমরা তাদের রক্তের শপথ নিয়েই জনগণের রাষ্ট্র গড়তে মাঠে নেমেছি।’ তিনি ঘোষণা দেন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই সনদ’
আদায়ের লক্ষ্যে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা নতুন সংবিধান
আদায় করেই ছাড়বো। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত
আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এনসিপি কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী কিংবা দখলদারদের
সংগঠন নয়। এনসিপি উঠে এসেছে সংকট থেকে, শোষণের বিরুদ্ধে এক বৈপ্লবিক
রাজনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে এনসিপি উঠে
এসেছে। এবার দেশ হতে হবে জনগণের। আমরা সেই লড়াই-ই করছি।’ তিনি সতর্ক করেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা এখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির
চেষ্টা করবে। তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। বাংলার মাটিতে আর কোনো দখলদার
থাকবে না।