পটুয়াখালীতে জেল থেকে বেড় হয়ে হত্যার চেষ্টা

Date: 2025-07-23
news-banner

সংবাদদাতা বাউফল
পটুয়াখালীতে একটি চাঁদাবাজী মামলায় জেল থেকে বেড় হয়ে মামলার বাদীর দেবরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করে অভিযুক্ত মামলার আসামী। গতকাল রাত অনুমান ৯টার দিকে বাউফল উপজেলার কনকদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। সূত্র জানায়, জেলার বাউফল উপজেলায় গত মে মাসে প্রবাসী আবুল হোসেন দীর্ঘদিন পরে বাড়ীতে আসেন। ওই সময় তার কাছে বিভিন্ন অযুহাতে চাঁদা দাবী করেন বাউফল থানা পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ডালিম গংরা। চাঁদা না পাওয়ায় রামনগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ডালিম হাওলাদার, মো. সোহেল হাওলাদারের ছেলে বাদল হাওলাদার, আনছার হাওলাদারের ছেলে মো. সোহেল, গনি হাওলাদারের ছেলে পারভেজ, মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. রাসেদ, মোক্তার আলীর ছেলে জাহিদ, মাহবুব হাওলাদারের ছেলে মো. হৃদয়, মজিবুর হাওলাদারের ছেলে হৃদয়, আবুল হোসেন মুন্সির ছেলে সুমন ও ফারুক সিকদারের ছেলে হোসেন সিকদার সহ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সঙ্গবদ্ধদল হামলা চালান প্রবাসীর বসতবাড়ীতে। ওই হামলায় আহত হয় প্রবাসী আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী পারুল বেগম। ওই সময় হামলাকারীরা তাদের বসতঘরে লুটতরাজ ও ভাংচুর চালিয়ে নগদ দুই লক্ষ টাকাও নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পারুল বেগম বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলার প্রধান আসামী ডালিমকে গ্রেফতার করলেও অন্যান্য আসামীরা থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। গ্রেফতারের প্রায় দুইমাস পরে জামীন বেড় হয় ডালীম। এরপরই গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত অনুমান ৯টার দিকে প্রবাসীর ভাই কনকদিয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন বাড়ী ফেরার পথে কনকদিয়া বাজারের হালিম টেইলার্সের সামনে হামলার স্বীকার হন। ওই হামলার নেতৃত্ব দেন চাঁদাবাজী মামলার প্রধান আসামী ডালিম হাওলাদার ও অন্যান্য আসামীরা। ওই সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলাপাথারী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ডালিম গংরা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে কনকদিয়া বাজারের নিউ লাইফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎস্যা দিতে শুরু করলে পুনরায় হামলা চালায়। ওই সময় নিউ লাইফ নামে ফার্মেসিতেও তারা লুটতরাজ চালায়। পরবর্তীতে বাউফল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে আহত কামাল হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জরুরী বিভাগের চিকিৎস্যক তাকে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্থানীয়রা সহ  নিউ লাইফ ফার্মেসীর মালিক মনির হোসেন দাবী করেন, ডালিম গংদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে পুলিশ সাংবাদিকরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। এর আগেও তার প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি হয়েছিলো। এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। আহত পক্ষদ্বয়কে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তারা অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



advertisement image

Leave Your Comments