তরুণ তরুণীদের প্রেমের প্রবণতা ও ইসলাম

Date: 2025-09-23
news-banner


বিডিফেস ডেক্স: 

তরুণ তরুণীদের বয়সের একটি সময়ে প্রেমে পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কিন্তু এই প্রবণতা তাদের ইহকালীন পরকালীন জীবনকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ইসলাম তরুণ-তরুণীদের এই বিপজ্জনক প্রবণতা রক্ষার পথ বাতলে দিয়েছে। ইসলামের এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচকরা যে বিষয়গুলো উল্লেখ করছেন-

প্রেমের প্রথমত প্রধান ক্ষতিকারক দিক হলো স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে সৃষ্টির চিন্তায় মগ্ন হওয়া। যে কারনে উঠতি বয়সের তরুন তরুনীরা আল্লাহর পরিচয় লাভ, অন্তরে তাঁর ভয় সঞ্চার তাঁর নৈকট্য থেকে দূরে সরে যায়।


ইহকালীন জগতের বিচারেও প্রেমের ক্ষতি খুব কম নয়। প্রেম মানুষকে স্থায়ী চিন্তা দুশ্চিন্তা, সন্দেহ-সংশয়, অনিদ্রা, ক্ষুধামান্দ্য, রাত জাগরণ ইত্যাদি বিষয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ব্যক্তির দেহ মনের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এসব অভ্যাসের কারণে চেহারার লাবণ্য কমে যায়, মনে অবসাদ তৈরি হয়, কর্মস্পৃহা কমে যায়, ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বোধ থাকে না। আর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারানো, আত্মহত্যা, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ইতিহাসও দেশ বিদেশে অনেক রয়েছে।

মুসলিম ধর্মের দৃষ্টিতে প্রেম-ব্যাধির চিকিৎসাগুলো হলো- প্রেমের সূচনা হয় চোখের ভালো লাগা থেকে। চোখের ভালো লাগা অন্তরে বসে গেলে প্রেম-ব্যাধির প্রকোপ। তরুণ-তরুণীর দায়িত্ব হলো নিজেদের দৃষ্টি অবনত রাখা। পবিত্র কোরআনেও মুমিনদের প্রতি সেই নির্দেশ আছে। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে; এটাই তাদের জন্য উত্তম। (সুরা : নুর, আয়াত : ৩০)

কেউ যদি প্রেমে পড়েও যায়, তবু প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখার উপকার অনেক। কেননা তা ব্যক্তির মানসিক দৃঢ়তার প্রমাণ করে। আসক্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এবং বিপরীত ব্যক্তি হতাশ হয়ে ফিরে যায়।

কোন নর নারীর প্রতি অন্তরে অবৈধ প্রেম অনুভূত হলে  যথাসম্ভব দূরে সরে যাওয়া উচিত। কেননা তার কথাবার্তা, চলাচল, আলোচনা ইত্যাদি দৃষ্টিগোচর যাতে না হয়। শারীরিক দূরত্ব একসময় মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৫১)

অবৈধ প্রেম পরিহারের চেষ্টার মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে প্রতিদান আশা করা উচিত। কার্যত সে পাপ পরিহার করছে। আর পবিত্র কোরআন হাদিসে পাপ পরিহারের বহু পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ।

 

 


Leave Your Comments