তথ্য প্রযুক্তি ডেক্স:
চ্যাটজিপিটি আধুনিক ডিজিটাল সহকারী দৈনন্দিন জীবনে
দ্রুত উত্তর, কপিরাইটিং, আইডিয়া ও জটিল বক্তব্য সরলীকরণে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
তবে শক্তিশালী এআই হলেও এটির সীমাবদ্ধতা আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ
হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন।
প্রথমত, শারীরিক অসুস্থতার নির্ণয় বা প্রেসক্রিপশনের
জন্য চ্যাটজিপিটিকে ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা বা লাইভ লক্ষণ পর্যবেক্ষণ
করতে পারে না। মানসিক সংকট বা আত্মহত্যা ভাবনার ক্ষেত্রে তা থেরাপিস্ট বা জরুরি সেবার
বিকল্প নয়। দ্রুত জীবনী-মূল্যের সিদ্ধান্ত (যেমন: গ্যাস লিক, আগুন) এআই থেকে উত্তর
নেওয়ার সময় নষ্ট; ওই পরিস্থিতিতে জরুরি সেবা অফিসিয়ালভাবে যোগাযোগ করা জরুরি।
অর্থ ও ট্যাক্স পরিকল্পনা, উচ্চমূল্যের বিনিয়োগ
বা আইনি দলিলের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল সাধারণ নির্দেশনা
দিতে পারে। বিতর্কিত বা ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার আগে যোগ্য পেশাদারের পরামর্শ নিন।
ব্যক্তিগত, সংবেদনশীল নথি অনলাইন চ্যাটে আপলোড না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি
কাজে সহায়তা বা পরীক্ষায় নকল করানো—এসব উদ্দেশ্যে এআই ব্যবহার কখনই অনুকূলে নয়। এছাড়া
ব্রেকিং নিউজ বা লাইভ কভারেজের সর্বশেষ আপডেটে নির্ভরতা কম রাখা উচিত। লাইভ সোর্স দেখা
শ্রেয়।
সংক্ষেপে: চ্যাটজিপিটি শক্তিশালী সহায়ক, কিন্তু
জীবন, আইন, অর্থ বা গোপনীয়তায় সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মানুষের
পেশাদারী তত্ত্বাবধান অপরিহার্য।
অ্যাংকর: চ্যাটজিপিটি আজ আমাদের দৈনন্দিন কাজ ও
সৃজনশীলতায় এক অনুপম সহযোগী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন-এর সীমা আছে।
রিপোর্টার: মেডিকেল ডায়াগনোসিস, প্রেসক্রিপশন কিংবা
মানসিক ক্রাইসিসে চ্যাটজিপিটি ব্যতিক্রমিক সমাধান নয়। এগুলোতে লাইভ চিকিৎসক বা জরুরি
সেবার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত, ট্যাক্স বা আইনি দলিল চূড়ান্ত করার
আগে অবশ্যই পেশাদারের পরামর্শ নিন। সংবেদনশীল ব্যক্তিগত কাগজপত্র অনলাইনে শেয়ার না
করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অ্যাংকর: সংক্ষেপে-চ্যাটজিপিটি কাজে লাগান, কিন্তু
যেখানে জীবন, আইন বা অর্থ ঝুঁকি আছে, সেখানে মানুষের সিদ্ধান্তকেই অগ্রাধিকার দিন।
সূত্র: জাগো নিউজ।