অনলাইন ডেস্ক:
অবশেষে আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরের মর্যাদা
পেল কক্সবাজার বিমানবন্দর।
রবিবার (১২ অক্টোবর)
বেসামরিক বিমান
পরিবহন ও পর্যটন
মন্ত্রণালয় থেকে
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা
হয়, “দ্য সিভিল অ্যাভিয়েশন রুলস, ১৯৮৪”-এর রুল ১৬ এর সাব-রুল (১)-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করছে। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
বেসামরিক বিমান
পরিবহন ও পর্যটন
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম
সচিব আহমেদ জামিল
স্বাক্ষরিত ওই
প্রজ্ঞাপন রবিবারই
প্রকাশ করা হয়।
দীর্ঘ
প্রস্তুতির পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-
২০০৯ থেকে
২০১৩ সালের মেয়াদে
কক্সবাজার বিমানবন্দরের
উন্নয়নকাজ শুরু
হয়। এরপর ২০১৫
সালে আন্তর্জাতিক মানে
উন্নীত করার নতুন
ধাপ যোগ হয়।
রানওয়ে সম্প্রসারণ, আধুনিক
টার্মিনাল ভবন
নির্মাণ, এবং
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট
পরিচালনার উপযোগী
অবকাঠামো তৈরির
কাজ ধাপে ধাপে
সম্পন্ন হয়েছে।
ভৌগোলিকভাবে কৌশলগত অবস্থান-
ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ
এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত
কক্সবাজার— যা
বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা
এবং মিয়ানমার ও
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
সঙ্গে সংযোগের এক
সম্ভাবনাময় কেন্দ্র।
এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
পাওয়ার ফলে এ
অঞ্চলে পর্যটন, বাণিজ্য ও যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত
হবে বলে আশা
করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞদের মত-
বিমান পরিবহন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর চালু
হলে বাংলাদেশে পর্যটন
খাতে নতুন গতি
আসবে। একইসঙ্গে সেন্টমার্টিন,
টেকনাফ ও বান্দরবান
অঞ্চলে বিদেশি পর্যটকদের
আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।