অনলাইন ডেক্স: 
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য
সরকার সম্ভাব্য সব উদ্যোগ নিচ্ছে। এই মন্তব্য তিনি করেন, যখন জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার
লোটজ তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব
নেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, তার অধীনে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন
জানিয়ে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক
প্রক্রিয়ায় বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা উৎসাহব্যঞ্জক।” তিনি সরকারের সংস্কার উদ্যোগ
ও বিশেষ করে জাতীয় সনদকে প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ
চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং নির্বাচনের পরও এসব সংস্কার অব্যাহত রাখার আহ্বান
জানান।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, জাতীয় ঐকমত্য
কমিশন সনদে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে একটি ঐতিহাসিক কাজ করেছে, যা আস্থা
বৃদ্ধি এবং নির্বাচনের আগে ঐক্যের ভিত্তি সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকে দুই পক্ষ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি
এবং জার্মানির সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তুলে ধরা হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা জার্মানিকে ইউরোপে বাংলাদেশের
প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান
জার্মানি আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে বাড়তে থাকা যোগাযোগকে
স্বাগত জানান।