লালপুর
(নাটোর) সংবাদদাতা :
ইমো
হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে লালপুর কিন্তু এগিয়ে আছে, পিছিয়ে নেই, এর সাথে আমাদের অনেক
ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে জড়িত আছে। মোবাইল হ্যাকিং এবং অনলাইন প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন
করতে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এসব
কথা বলেন।
বুধবার
(২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় লালপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লালপুর শ্রী সুন্দরী
পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ চত্বরে
এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অত্র
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক খাজা শামীম মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময়
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোরের
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
মতবিনিময়
সভায় পুলিশ সুপার আরো বলেন, ইমো হ্যাকিং প্রতারণা চক্রের সদস্যরা প্রবাসী ও প্রবাসীদের
আত্মীয়-স্বজনদের টার্গেট করে তাদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি
আরো বলেন এই রূপ কর্মকাণ্ডের ফলে লালপুর উপজেলা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ফলে জেলা
পুলিশ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মোবাইল হ্যাকিং এবং অনলাইনের প্রতারণা প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের
সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সচেতনতাই লালপুর উপজেলার এই বদনাম
ঘুচাতে পারে।
মতবিনিময়
সভায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ বলেন হ্যাকিং প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে এবং
সকলকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।
এ
সময় পুলিশ সুপার ইমো হ্যাকিং প্রতারণা চক্রের
বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীসহ সকলকে এব্যাপারে সচেতন থাকতে আহ্বান
জানান। উল্লেখ্য- নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ও দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে
ইমো হ্যাকিং প্রতারণা চক্রের সদস্যরা নানা কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রতারণা
করে মানুষের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
লালপুর
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, গত দশ মাসে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনে লালপুর
থানায় ৫টি মামলা হয়েছে। উক্ত মামলায় এজারভুক্ত ২০ জন আসামিসহ আরো অজ্ঞাত আসামি গ্রেফতার
করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির ৭২টি মোবাইলসহ প্রায় শতাধিক সিম উদ্ধার করা
হয়েছে। ইমো হ্যাকিং প্রতারণা চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলমান
আছে।