বিডিফেস২৪ ডেক্স:

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের (জীবিত ও মৃত) ওয়ারিশদের তথ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আখিনুর জাহান নীলা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, সব বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য ও ওয়ারিশদের (পিতা, মাতা, স্ত্রী ও সন্তান) তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রোফাইলে থাকা সর্বশেষ আইকনে ওয়ারিশ সম্পর্কিত তথ্য সংযোজনের সুযোগ থাকবে।

জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে পারিবারিক সনদ এবং মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদ আপলোড করতে হবে। জীবিত ও মৃত ওয়ারিশদের তথ্য পৃথকভাবে এন্ট্রি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জীবিত ওয়ারিশদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইপূর্বক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে তথ্য সংযোজন করতে হবে।

অন্যদিকে, মৃত ওয়ারিশদের ক্ষেত্রে মৃত্যুসনদ ও মৃত্যুর তারিখ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে একাধিক ওয়ারিশের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

ভাতাপ্রাপ্ত কোনো ওয়ারিশ মৃত্যুবরণ করলে তার তথ্য ‘মৃত ওয়ারিশদের তালিকা’-তে সংযোজন করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে সোনালী ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপক তথ্য এন্ট্রির দায়িত্ব পালন করবেন এবং কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথ্য অনুমোদন করবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।