মিজানুর রহমান, বাকেরগঞ্জ:
বরিশালের
বাকেরগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া ৭৫ বস্তা ডাল ও ৪ বস্তা তিলসহ একটি ট্রলার পটুয়াখালী জেলার
বাউফলের কালাইয়া থেকে উদ্ধার করেছে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনকে মঙ্গলবার
কালাইয়া বাজার থেকে আটক করা হয়। 
বুধবার
(৮ অক্টোবর) আটককৃতদের মামলা দিয়ে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে৷
গ্রেপ্তারকৃতরা
হলেন, উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক প্যাদার পুত্র নিজাম
প্যাদা (৩৫), মালেক প্যাদার পুত্র মোঃ রাসেল প্যাদা (২৭) ও ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের আনোয়ার
হাওলাদারের পুত্র মোঃ পিন্টু হাওলাদার (২৫)। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী দেবাশীষ কুন্ড বাদি
হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। চুরির সাথে জড়িত ট্রলার চালকসহ
৩জন আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মাস্টারমাইন্ড সাবেক
ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হাওলাদারর ভাইপো নাসিম হাওলাদার ওরফে কাওসার। তিনি মরহুম নাসির
হাওলাদারের ছেলে। 
মামলা
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত বাসুদেব কুণ্ডের পুত্র
দেবাশীষ কুন্ড কলসকাঠী বাজারে ভুষা মালের ব্যবসা এবং গোডাউনে মালামাল মজুদ করেন। গত
২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার সময় তিনি তার ভুষা মালের গোডাউন তালাবদ্ধ করে নিজ বাড়ীয়া
চলিয়া যায়। পরবর্তীতে ৩০সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার সময় তিনি তার গোডাউনের দরজা খুলিয়া মালামাল
ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় দেখেন। পরে জানতে পারেন, গোডাউনে রক্ষিত খেসাড়ি ডাল ৭০ বস্তা
১০৫ মন, মুগ ডাল ৫ বস্তা ২০ সের এবং তিল ৪ বস্তা ৭ মন প্রায় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ২ শত ৫০
টাকার মালামাল ট্রলারে পরিবহন করে চুরি করিয়া নিয়া যায়। 
দেবাশীষ
কুণ্ড সাংবাদিকদের জানান, চুরির এক সপ্তাহ পর ৭ অক্টোবর সকালে তার মামা শ্বশুর পটুয়াখালী
জেলার বাউলের কালাইয়া গ্রামের খোকন চন্দ্র কুন্ডের মাধ্যমে চুরি হওয়া মালামালের সন্ধান
ও আসামীদের অবস্থান জানতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে চোরাই মালামাল ও ট্রলারসহ
৩ জনকে আটক করে। তিনি আরো জানান, চুরির এ ঘটনার সাথে এলাকার রাঘব বোয়ালরা জড়িত। পুলিশের
ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে তিনি চোরদের মাস্টারমাইন্ডসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি
জানিয়েছেন। 
একটি
সুত্র জানায়, চুরি হওয়া ডালের গোডাউনের পাশে কাওসার হাওলাদারের হার্ডওয়ারের দোকান।
চুরি হওয়া ট্রলারটি ভাড়া করেছিল কাওসার। তিনি 
এলাকার প্রভাবশালী বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হাওলাদারের ভাইয়ের
ছেলে বিধায় এবং বাদী সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ভয়ে মামলার তার নাম দেয়নি। কাওসারকে
গ্রেপ্তার করলেই চুরির ঘটনার প্রকৃত সত্যতা উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান স্থানীয়রা।
বাকেরগঞ্জ
থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেবাশীষ কুন্ড বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায়
একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বরিশাল জেল
হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চুরির ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া
চলছে।