অনলাইন
ডেক্স:
অধিকৃত
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জলপাই তোলার মৌসুমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে
দুই মার্কিন ইহুদি নারীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার এক যৌথ
বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুটি মানবাধিকার সংস্থা-সলিডারিটি অব নেশনস ও রাব্বিজ ফর
হিউম্যান রাইটস।
বিবৃতিতে
বলা হয়েছে, ওই দুই নারীসহ মোট ১১ জন স্বেচ্ছাসেবককে নাবলুসের কাছে বুরিন গ্রামে পৌঁছানোর
আগেই আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। এলাকাটিকে “বন্ধ সামরিক অঞ্চল” ঘোষণা করা হয়েছিল—যা
সাধারণত জলপাই মৌসুমে ফিলিস্তিনিদের জমিতে প্রবেশে বাধা দিতে ব্যবহৃত হয়।
সংগঠনগুলো
জানায়, সেনাদের নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের আটক করা হয়।
পরবর্তীতে ইসরায়েলি নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মুক্তি দেওয়া হলেও, দুই মার্কিন নাগরিককে
জানানো হয় তাদের বহিষ্কার করা হবে।
সংস্থাগুলোর
মতে, এই সিদ্ধান্ত অহিংস মানবাধিকার কার্যক্রম এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে ন্যায়বিচারের
পক্ষে ইহুদি কণ্ঠস্বরকে নীরব করে দেওয়ার এক “উদ্বেগজনক প্রবণতা” নির্দেশ করে।
প্রতিবছর
ইসরায়েলি ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবকরা ফিলিস্তিনিদের জলপাই তোলায় সহায়তা করেন।
একে “সুরক্ষামূলক উপস্থিতি (ঢ়ৎড়ঃবপঃরাব ঢ়ৎবংবহপব)” বলা হয়—যার উদ্দেশ্য বসতি স্থাপনকারীদের
হামলা প্রতিরোধ করা।
তবে
চলতি ২০২৫ সালের মৌসুমে সহিংসতা তীব্রতর হয়েছে। এএফপি জানায়, সাংবাদিকরা অন্তত আটটি
বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এসে কাঁদানে
গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়, কিন্তু হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রামাল্লার
কাছে তুরমুস আইয়া শহরে এক সংঘর্ষে একজন সুইডিশ স্বেচ্ছাসেবকের হাত-পা ভেঙে যায় বলে
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান।
এর
আগেও, অক্টোবরে একই বুরিন গ্রামে “বন্ধ সামরিক অঞ্চল” আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩০ জনেরও
বেশি বিদেশী স্বেচ্ছাসেবককে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য,
ইসরায়েল ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস। এদের একটি কট্টরপন্থী অংশ নিয়মিতভাবে ফিলিস্তিনিদের
বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।