বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা :
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “জামায়াত বিজয়ী হলে একজন এমপি নয়, এমপি হবে বাউফলের সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। অতীতে আমরা এমপি পেয়েছি, কিন্তু প্রকৃত সেবক পাইনি। এবার মানুষ ভোট দেবে সেবক নির্বাচনের জন্য, ক্ষমতা নয়—সেবা করার জন্য।
শনিবার (৫ অক্টোবর) কাছিপাড়া ইউনিয়নে দিনভর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মাসুদ বলেন, “আমরা আল্লাহর আইনের আলোকে একটি সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করতে চাই। বাউফলে আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। গোটা বাউফল একটি পরিবার—এ পরিবারের মধ্যে প্রতিহিংসা বা বিভাজন থাকতে পারে না। দল-মত নির্বিশেষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ বাউফল গড়ে তুলব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন রাস্তা চাই না যার জন্য কাকুতি-মিনতি করতে হবে, যেখানে পাঁচ কোটি টাকার বরাদ্দের কাজ হয় মাত্র এক কোটির, আর বাকি টাকা লোপাট হয়ে যায়। এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চাই না যেখানে দশ কোটি টাকার প্রকল্পে এক কোটির কাজ হয়, বাকি আট কোটি চলে যায় নেতাকর্মীদের পকেটে।”

জামায়াত নেতা আরও বলেন, “যারা আমাদের গালাগালি করে, আমরা তাদের সঙ্গে গলাগলি ও কোলাকুলি করব। ব্যালটের মাধ্যমে গালাগালির দাঁতভাঙা জবাব দেবে বাউফলবাসী।”
বেকারত্ব সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জামায়াত ক্ষমতায় এলে প্রতিটি যুবকের এক হাতে থাকবে সার্টিফিকেট, আরেক হাতে কর্মসংস্থান। আমরা তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ইতিমধ্যে বাউফলে প্রায় আড়াই শতাধিক তরুণকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকালও আমরা দশটি পরিবারকে ছাগল, অটো ও মৎস্য খামারের সহায়তা দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “বেকার যুবকরাই মাদকাসক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ছে—এর জন্য অনেকাংশে দায়ী রাজনীতিবিদরা। আমরা চাই তরুণরা স্বাবলম্বী হোক, মাদক নয়, তারা হোক উন্নয়নের হাতিয়ার।”
গণসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. খালিদুর রহমান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কাজী মো. আবদুদ দইয়্যান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম নূর, উপজেলা সভাপতি মো. লিমন হোসেনসহ প্রায় ২৫০টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ছয় শতাধিক নেতা-কর্মী।
ড. মাসুদ কাছিপাড়া ইউনিয়নের আনারকলি বাজার, বাহেরচর বাজার, কাছিপাড়া চৌরাস্তা, গোপালিয়া লঞ্চঘাট, পশ্চিম কাছিপাড়া দাখিল মাদরাসাসহ প্রায় ২০টি স্থানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।