টাঙ্গাইলে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণীকে ধর্ষণ

Date: 2025-09-16
news-banner
অনলাইন ডেক্স:
জেলা টাঙ্গাইল মির্জাপুরে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ২২ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তরুণী ২ সেপ্টেম্বর আরাফাত হোসেনকে প্রধান করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন-আরাফাত হোসেনের বাবা মো. ফরহাদ মোল্লা, মা সাজেদা বেগম, ভাই অপু মোল্লা ও কথিত বোন লাকী আক্তার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার টাকিয়া কদমা গ্রামের ফরহাদ মোল্লার ছেলে মো. আরাফাত হোসেনের সঙ্গে ২০২৪ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে একটি গ্রামের ২২ বছরের ওই তরুণীর পরিচয় হয়। আরাফাত ওই তরুণীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন প্রকার হাদিস এবং ইসলামী ঘটনা পাঠাতেন।
একপর্যায়ে আরাফাত উপজেলা শহরের কাকলী মোড়ের গোল্ডেন স্পন হোটেলে স্বাক্ষাৎ করতে বলেন।আরাফাত ওয়াশ রুমে তার ফোনের ক্যামেরা অন করে রাখেন এবং গোপনে তরুণীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন। আরাফাত হোসেন উপজেলা শহরের হিফজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষক আর তরুণী চলতি বছর এইচএসসি পাস করেছেন।
২৮ ডিসেম্বর আরাফাত তরুণীকে তার কথিত বোন লাকী আক্তারের বাসায় নিয়ে যান। এসময় আরাফাত মোবাইলে ধারণ করা তার নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় লাকী আক্তারের সহায়তায় আরাফাত তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে তারা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।

পরবর্তীতে তারা বিয়ের প্রলোভন এবংনসমোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে ৪ আগস্ট লাকী আক্তারের ভাড়া বাসায় নেন এবং দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। এরমধ্যে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি আরাফাতকে জানালে তার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানায়। 
বাবা-মা, ভাই-বোন তরুণীকে দেখবে বলে ৯ আগস্ট আরাফাত তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। আরাফাতের বাবা-মা ও ভাই তরুণীকে আদর যত্ন শুরু করেন এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ান। পরে বাবা-মায়ের নির্দেশে আরাফাত তাকে মির্জাপুরে পৌঁছে দেন। আরাফাতের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পেট ব্যথা শুরু হয়। ১০ আগস্ট মির্জাপুর শহরের আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেছে। 
এ ঘটনার পরে ২ সেপ্টেম্বর আরাফাত হোসেনকে প্রধান করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন ওই তরুণী। অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন ও বাবা ফরহাদ মোল্লার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। 

মির্জাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

Leave Your Comments